কেন ব্লগ শুরু করা উচিত

ব্যবসা জন্য কেন ব্লগ শুরু করা উচিত ?

ব্লগিং শুধুমাত্র ব্লগারদের জন্য নয়, এটি এখন ব্যবসায়ীদের জন্য অতি প্রযোজনীয়।ব্যবসার জন্য একটি ব্লগ লেখার, একটি কার্যকর বিপণন কৌশল।প্রত্যেকটি অনলাইন ব্যবসা যেমন: খুচরা, সার্ভিস, মেনুফেকচারিং, ডিলার ইত্যাদি সকল ক্যাটাগরির ব্যবসার জন্যই ব্লগ অতিব প্রযোজনীয়।এতে আপনার ব্যবসার প্রচার ও প্রচারের পাশাপাশি ব্যবসার উন্নতি ঘটে।


ব্যবসার জন্য কেন ব্লগ শুরু করা উচিত ?
ব্লগ ব্যবসায়-পণ্য, সেবা,এবং বিক্রয়ে আরও উন্নীত করার জন্য একটি নিখুঁত সুযোগ প্রদান করে। ব্লগগুলি আপনার গ্রাহকদের সামনে কেবল তাদের পণ্যগুলিই নয় বরং পণ্যগুলির সুবিধাগুলিও তুলে ধরে এবং বর্তমান তথ্য প্রদান করে, গ্রাহকদের কাছে সর্বশেষ খবর এবং বিদ্যমান বা নতুন পণ্যগুলি সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে।


১. পণ্যের ক্রস সেলিং এবং আপ সেলিং করাতে সহায়তা করে: সেলস এর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি টেকনিক হচ্ছে এই দুটি টেকনিক যা আপনি ব্লগিং দিয়ে খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন।যেমন কেউ 100 টাকার পণ্য কিনতে আসলো তাকে আপনি 150 টাকার পণ্য বিক্রি করে আপ সেলিং করাতে পারবেন। আবার কেউ একটি আইটেম কিনতে আসলো তাকে আপনি আরও দু’টি আইটেম বিক্রি করতে পারবেন।
এই টেকনিক গুলোর মাধ্যমে একটি কোম্পানি তার রেভিনিউ বৃদ্ধি করাতে পারে এই বিষয়গুলোর উপরে আপনার পূর্ণাঙ্গ স্পষ্টতা তৈরি করতে হবে, যা আমি বারবার আমার প্রত্যেকটি পোস্টে আলোচনা করে থাকি।
২. কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির জন্য: বর্তমান যুগ হচ্ছে কনটেন্টের যুগ কনটেন্ট এই সবকিছু। আর এই ব্লগ কনটেন্ট মার্কেটিং করার জন্য ৮০% অবদান রেখে থাকে।
৩. কাস্টমার সার্ভিস: ব্লগিং করে আপনি টেকনিক্যালি কাস্টমার সার্ভিসের কার্যকলাপগুলো সম্পাদন করেতে পারবেন। কারণ ব্লগ হচ্ছে কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করার অন্যতম একটি মাধ্যম।
৪. ফ্রেশ কনটেন্টের জন্য: আপনি যত নতুন নতুন কনটেন্ট আপনার ব্লগে পাবলিশ করবেন সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ব্লগ তথ্য আপডেট থাকবে এবং অর্গানিক ট্রাফিক আপনি পেতে থাকবেন।
৫. খুব ভালো ইন্টার্নাল লিংকিং করার জন্য: এক ব্লগ থেকে আরেক ব্লগের লিংক দেওয়া এবং হোমপেজকে লিংক করে রেংকিং এ নিয়ে আসা, এরজন্য ব্লগিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়টি হলো এসইওর একটি টেকনিক্যাল বিষয়।
৬. কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনি যে অভিজ্ঞতা : ব্লগিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার কাস্টমারকে জানাতে পারবেন এতে আপনার কাস্টমার মনে করবে আপনি এই বিষয়টার উপরে অনেক অভিজ্ঞ এবং দক্ষ।
আপনার অভিজ্ঞতার যখন আপনার কাস্টমার বুঝতে পারবে তখন তারা আপনার উপরে একটি বিশ্বাস অর্জন করবে, আর সেলস এর একমাত্র সর্ব প্রধান উপায় হচ্ছে বিশ্বাস।
৭. নতুন পণ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া: আপনি যখন ব্যবসায় কোন নতুন পণ্য নিয়ে আসছেন সেটার অগ্রিম একটি হাইপ তৈরি করে দিতে পারেন এই ব্লগিং চ্যানেলকে ব্যবহার করার মাধ্যমে।
৮. কাস্টমার ফিডব্যাক গ্রহণ: আগেই বলেছি ব্লগিং আপনার এবং আপনার কাস্টমারের সাথে একটি যোগাযোগ তৈরি করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, আপনি এখান থেকে কাস্টমারের ফিডব্যাক নিয়ে সেই অনুযায়ী ইমপ্রুভমেন্ট নিয়ে আসতে পারেন।
৯. বেশি বেশি কাস্টমার নিয়ে আসা: ব্লগিং করার মাধ্যমে যখন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে চলে আসবে তখন কিন্তু আপনি অনেক বেশি কাস্টমার পেয়ে যাবেন এবং এই ব্লগ গুলো যখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হবে সেখান থেকেও কিন্তু আপনি অনেক কাস্টমার আপনার ব্যবসায় নিয়ে আসতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
কেন ব্লগ শুরু করা উচিত অনেক কোম্পানিই জানে কিন্তু তারপরও সঠিকভাবে ব্যবহার করে না। তারা ব্লগকে শুধুমাত্র ব্যবহার করে তাদের ওয়েব ডিজাইনাররা হয়তোবা বলে রাখে যে ব্লগ নামে একটি ক্যাটাগরি তৈরি করে রাখতে হবে সেই কারণে তারা নামমাত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।
তাই ব্লগিং এর আসল গুরুত্ব এখন বুঝতে পেরেছেন এবার সেইভাবে এই ব্লগিংকে ব্যবহার করুন। বিস্তারিত জানতে হলে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করতে পারেন অথবা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার এই বিষয়ের উপরে যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে।
আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন (হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক টুইটার, লিঙ্কডইন, সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে)
সব ধরনের কনটেন্ট পেতে আমাকে অনুসরণ করুন যাতে পরবর্তীতে আমার পোস্টগুলো আপনি সবার আগে পেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *